কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ওয়াহিদুজ্জামান অর্ক
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট-দোস্তপাড়া এলাকায় ইমপ্রুভিং এগ্রোভেট লিঃ নামের অবৈধ মৎস্য ফিড কারখানা চালিয়ে আসছিল ডাবলু নামের এক ব্যক্তি । স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের আধারে সেখানে কারখানার মেইন দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন ধরনে চর্বি, হাড় ভাংনো হতো। এতে আশপাশ এলাকায় চরম দুর্গন্ধের মাঝে মানুষেরা বসবাস করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস দেখাতো না। আজ দুপুরে ওই কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালাই। অভিযানে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আকাশ(২৮)কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল জদ্ব ও সিলগালা করা হয়েছে।
অভিমান পরিচালনা করেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, আজ দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল উইনিয়নের কবুরহাট এলাকায় ইমপ্রুভিং এগ্রোভেট লিঃ নামের একটি অবৈধ কারখানায় সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে দেখি পশুর হাড়, ট্যানারির বজ্র সহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে মৎস্য ফিড তৈরি করছে এটা সম্পূর্ণ ভাবে অনিরাপদ। এই খাদ্য মাছ বা অন্য প্রাণী খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে এবং সার্বিক ভাবে এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। শুধু তাই নয় এই প্রতিষ্ঠানের সরকারি কোন অনুমোদন নেই । এখানে এসে এই প্রতিষ্ঠানের মালিককে পায়নি। তার ফলে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে ৬ মাসের কারাদন্ড, প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা ও সকল মালামাল জব্দ করেছি। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শরিফ বিশ্বাস।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান এখানে চলছে। এই কারখানার বিকট শব্দ হয় এর ফলে রাত্রে ঘুমানো যায় না। এখান থেকে বাজে গন্ধ বের হয় এই জন্য খাওয়া-দাওয়া ঠিক ভাবে করতে পারি না। মালিক পক্ষ স্থানীয় এক প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে তার প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিল। যে কারনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ভয় পেতো আশপাশের বসবাসরত মানুষেরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী আরো জানান এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ঢাকার ডাবলু নামের এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চলত এবং আই স্যারের আত্মীয় পরিচয় দেন সেই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতো না। এখানে পাটনার হিসেবে কাজ করে কুষ্টিয়া মজমপুর এলাকার লিটন নামের এক ব্যক্তি।
সাজাপ্রাপ্ত আসামী আকাশ মুন্সিগঞ্জ জেলার কাটাখালী এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।